1. salmanameen2012@gmail.com : নতুন ভাবনা : নতুন ভাবনা
  2. info@www.natunbhabna.online : নতুন ভাবনা :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "নতুন ভাবনা" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, ৭ বছর পর মামলা

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে
ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে বোমা হামলা ও দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার সাত বছর পর মামলা করা হয়েছে। ফেনীর আদালতে করা এ মামলায় তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গীর সরকারসহ ১৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে ফেনীর মহিপালে তার গাড়িবহরে হামলা হয়।

এ সময় দুটি বাসে আগুনসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।হামলাকারীরা খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে যমুনা পরিবহন ও চৌদ্দগ্রাম পরিবহন নামে ২টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মো. শাফায়াত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে ৪৫ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে ২৮ নভেম্বর যমুনা হাই ডিলাক্স পরিবহনের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলন বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে ফেনী সদর আমলি আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন ফেনীর তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আমিনুল ইসলাম, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ বিকম, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, দাগনভূঞা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিরাজুল ইসলাম, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন, শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক, ধলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার আহমেদ মুন্সি, ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাহ উদ্দিন ফিরোজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জ, পৌর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিটু এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম মোহন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হামলার সময় ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলার বাদী আবুল কাশেম মিলন, লক্ষ্মীপুরের নেয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল মালেক ড্রাইভার, বাঞ্ছারামনগর এলাকার ফারুক ড্রাইভার, নোয়াখালীর চরজব্বর থানার হাজীপুর এলাকার হেদায়েত উল্যাহ ড্রাইভার ও সুধারাম থানার চর শুল্লাকিয়া এলাকার হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুনানি শেষে আদালত পুলিশ সুপার সমমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের মাধ্যমে আগামী  ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন  জমা দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে বাদী মিলন বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকিসহ মানসিক চাপে রয়েছেন। এতে তিনি গণমাধ্যমের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত নতুন ভাবনা-২০২৪, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট