মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে ফেনীর মহিপালে তার গাড়িবহরে হামলা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে ফেনীর মহিপালে তার গাড়িবহরে হামলা হয়।
এর আগে ২৮ নভেম্বর যমুনা হাই ডিলাক্স পরিবহনের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলন বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে ফেনী সদর আমলি আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন ফেনীর তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আমিনুল ইসলাম, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ বিকম, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, দাগনভূঞা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিরাজুল ইসলাম, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন, শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক, ধলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার আহমেদ মুন্সি, ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাহ উদ্দিন ফিরোজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জ, পৌর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিটু এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম মোহন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হামলার সময় ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলার বাদী আবুল কাশেম মিলন, লক্ষ্মীপুরের নেয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল মালেক ড্রাইভার, বাঞ্ছারামনগর এলাকার ফারুক ড্রাইভার, নোয়াখালীর চরজব্বর থানার হাজীপুর এলাকার হেদায়েত উল্যাহ ড্রাইভার ও সুধারাম থানার চর শুল্লাকিয়া এলাকার হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।