1. salmanameen2012@gmail.com : নতুন ভাবনা : নতুন ভাবনা
  2. info@www.natunbhabna.online : নতুন ভাবনা :
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "নতুন ভাবনা" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন টিউলিপ, বিকল্প ভাবছে লেবার পার্টি

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

লন্ডনে ‘বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট’ ও বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক চাপে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। এরই মধ্যে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্তও হয়েছে। এ ছাড়া টিউলিপ নিজেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের বিষয়টি জোরালো হচ্ছে। টিউলিপ যদি পদত্যাগে বাধ্য হন তাহলে তাঁর জায়গায় নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত করার চিন্তা করছে তাঁর দল লেবার পার্টি।

দ্য টাইমস বলছে, টিউলিপের বিকল্প বিবেচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ মিত্ররা। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুর্নীতির সম্পৃক্ততার কারণে টিউলিপকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত প্রার্থী হিসেবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।

গত সোমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর নীতিবিষয়ক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার কাছে নিজের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তদন্তের দাবি জানান টিউলিপ। তবে তার আগেই টিউলিপের বিকল্প প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা করেছেন কর্মকর্তারা।

তবে স্টারমার বলছেন, টিউলিপের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র টিউলিপকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ বলে দাবি করেছেন।

তবে টাইমস এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে যে স্টারমারের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিউলিপের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমটি বলছে, গত বছরের আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির তদন্তের মধ্যে ব্রিটেনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন টিউলিপ।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক-অপরাধ বিভাগের কর্মকর্তারা এরই মধ্যে টিউলিপ এবং তাঁর পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টিও তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অর্থ কেলেঙ্কারিতে টিউলিপের ভূমিকা কী ছিল তা খতিয়ে দেখছে তাঁরা।

দ্য টাইমস বলছে, ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের জন্য টিউলিপের বিকল্প হিসেবে যাঁদের বিবেচনা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছে র‌্যাচেল রিভসের দুই মন্ত্রীর সহকারী। তাঁরা হচ্ছেন, অ্যালিস্টার স্ট্রাথার্ন ও ইমোজেন ওয়াকার।

ইমোজেন ওয়াকার (ওপরে বাঁ থেকে প্রথম), কনিষ্ক নারায়ণ (ওপরে মাঝে), রাচেল ব্লেক (ওপরে ডানে), অ্যালিস্টার স্ট্র্যাথার্ন (নিচে বাঁয়ে), ক্যালাম অ্যান্ডারসন (নিচে ডানে)। ছবি: সংগৃহীতইমোজেন ওয়াকার (ওপরে বাঁ থেকে প্রথম), কনিষ্ক নারায়ণ (ওপরে মাঝে), রাচেল ব্লেক (ওপরে ডানে), অ্যালিস্টার স্ট্র্যাথার্ন (নিচে বাঁয়ে), ক্যালাম অ্যান্ডারসন (নিচে ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) টিউলিপ ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া চুক্তির মাধ্যমে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করতে টিউলিপ সহায়তা করেছিলেন কি না, তা অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

টিউলিপের পদে যেসব ব্যক্তি ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বিবেচনায় আসতে পারেন, তাঁদের মধ্যে আছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী র‌্যাচেল রিভসের দুই সহযোগী—অ্যালিস্টার স্ট্র্যাথার্ন ও ইমোজেন ওয়াকার।

অন্য যাঁরা এই পদের জন্য বিবেচিত হতে পারেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, দেশটির প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রীর পার্লামেন্টারি প্রাইভেট সেক্রেটারি (পিপিএস) ক্যালাম অ্যান্ডারসন, পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রীর পিপিএস কনিষ্ক নারায়ণ, বিচারবিষয়ক মন্ত্রীর পিপিএস জশ সিমন্স ও রাচেল ব্লেক।

বিবেচনায় আসতে পারেন যুক্তরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লুসি রিগবি ও অর্থনীতিবিদ টরস্টেন বেল। বেল দেশটির একজন মন্ত্রীর সহকারীও। তাঁরা দুজনই শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন।

ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির একটি সূত্র বলেছে, অভিযোগ তদন্তের ব্যাপারে টিউলিপের আহ্বান (রেফারেল) এই ইঙ্গিত দেয় যে তিনি দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। তিনি এই পথে রয়েছেন।

খালা শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক টিউলিপকে লন্ডনে ৭ লাখ পাউন্ডের একটি ফ্ল্যাট দিয়েছেন। আবার শেখ হাসিনার একজন উপদেষ্টা টিউলিপের বোনকে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডের ফ্ল্যাট দিয়েছেন—এসব তথ্য সামনে আসার পর তিনি ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েন।

টিউলিপের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সম্পত্তিগুলো আওয়ামী লীগের প্রতি তাঁর সমর্থনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল—এমনটা ধারণা দেওয়াটা ‘স্পষ্টতই ভুল’।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত নতুন ভাবনা-২০২৪, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট