কেন খাবেন
ব্রকলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে।

ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম ক্যালোরি তারওপর উচ্চ মাত্রায় ফাইবার এবং পানিযুক্ত ব্রকলি ক্ষুধা কমায় এবং মেটাবলিজম বাড়ায়।

যেভাবে খাবেন
হালকা সেদ্ধ ব্রকলি ভিটামিন এবং মিনারেল ধরে রাখে। তাই এটাকে সালাদ বা স্যুপে ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য অলিভ অয়েল, রসুন এবং মরিচ দিয়ে ব্রকলি ভাজা করতে পারেন। এভাবে ভাজা করলে স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ উভয়ই অটুট থাকে।

ব্রকলি, পালং শাক, কলা এবং দুধ মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর স্মুদি তৈরি করতে পারেন খেতে পারেন। ব্রকলি কিন্তু গ্রিল করেও খাওয়া যায়। হালকা মশলা দিয়ে গ্রিল করে সাইড ডিশ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন।

ব্রকলি, গাজর, পেঁয়াজ এবং সবজি মিশিয়ে সুপ তৈরি করতে পারেন। এই স্যুপ যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়া ব্রকলি কেটে ছোট টুকরো করে পাস্তা বা নুডলসের সাথে মেশালে স্বাদ এবং পুষ্টি বাড়ে। ব্রকলি দেশীয় সবজির মতো করে রান্না করেও খেতে পারেন।

লক্ষ্য রাখুন
ব্রকলি কেনার সময় সতেজ, উজ্জ্বল সবুজ এবং শক্ত দেখে ব্রকলি কিনুন। হলুদ বা নরম ব্রকলি এড়িয়ে চলুন।  ব্রকলি ফ্রিজে রাখলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকে। ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

সতর্কতা
ব্রকলির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক বা শরীরে ফোলাভাব হতে পারে।
যারা ব্লাড থিনার ব্যবহার করেন, তারা অতিরিক্ত ভিটামিন কে এড়িয়ে চলুন, ব্রকলিতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন কে থাকে।

সূত্র: স্মিথসনিয়ান ম্যাগাজিন