পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে ৫০টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। আটককৃত ব্যক্তি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানিয়েছে বিএসএফ। তাদের দাবি অনুযায়ী ওই ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে স্বর্ণ চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ওই ব্যক্তি। বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের এপার থেকে স্বর্ণের চালান পেয়ে সেগুলো অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করতেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা বিএসএফ সদস্য এন কে পান্ডে বলেছেন, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিএসএফ সদস্যরা। তারা তেঁতুলবেড়িয়া সীমান্তবর্তী আঁচলপাড়া গ্রামে তল্লাশি চালায়। এই অভিযানের সময় এক ব্যক্তিকে তার বাড়ির পেছনের দ্বার দিয়ে পালাতে দেখে বিএসএফের এক জওয়ান ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে ওই ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়ে বসে পড়লে তাকে আটক করেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তার কাছে থাকা একটি কালো ব্যাগ থেকে ৫০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। অধিক তথ্যের জন্য ওই ব্যক্তিকে আটক করে তেঁতুলবেড়িয়া বিওপিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি স্বীকার করেছেন যে, তিনি পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সহজে অর্থ উপার্জনের লোভে সীমান্তে চোরাকারবারিদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন তিনি। প্রতিটি চালানে ৫০০ থেকে ১০০০ রুপি পেতেন বলে জানিয়েছেন আটক হওয়া ব্যক্তি। তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় গোপন রেখেছে বিএসএফ।
Leave a Reply