এক দশকের বেশি সময় ধরে কাতারের রাজধানী দোহায় নিজেদের রাজনৈতিক অফিস পরিচালনা করছে হামাস। এছাড়া দেশটিতে তাদের একাধিক নেতাও বসবাস করেন
শনিবার সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে সিএনএন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে হামাসকে দোহার অফিস বন্ধ করে চলে যেতে বলেছে কাতার। তবে এ তথ্যকে অস্বীকার করে হামাসের এক সিনিয়র নেতা বলেছেন, তাদের এমন কোনো অনুরোধ করা হয়নি।
তিনি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘অজ্ঞাত কূটনৈতিক সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে আমাদের কোনো কিছু নিশ্চিত বা অস্বীকার করার নেই। আমরা কাতার ছাড়ার কোনো অনুরোধ পাইনি।’ তবে গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে কাতারের সড়ে দাঁড়ানোর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রের বরাতে এনডিটিভি বলেছে, ইসরাইল ও হামাস- দু পক্ষকেই কাতার জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আন্তরিকভাবে যেতে রাজি না হবে, ততক্ষণ দোহা এ বিষয়ে আর মধ্যস্থতা করবে না। ফলে দোহায় হামাসের কার্যালয় থাকার দরকার নেই।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আশার আলো দেখা যায়নি। সূত্রের তথ্যমতে, কাতার যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, ইসরাইল ও হামাস আন্তরিকভাবে আলোচনার টেবিলে ফেরার আগ্রহ দেখালে তারা আবার মধ্যস্থতা করবে।
Leave a Reply